Header Ads

Logo Design by FlamingText.comLogo Design by FlamingText.com

রাসূল (সা.) এর সুন্নাত

সুন্নাতের পক্ষে

ফরয, ওয়াজিব ও নফল সবই সুন্নাত

এক হাদীসে আবু মুসা আশআরী (রা.) নামাযের ফরয, নফল সকল কর্মকে সুন্নাত নামে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর পিছনে নামায আদায় কালে একব্যক্তি তাশাহহুদের বৈঠকে বলেন: “যাকাত ও কল্যাণের সাথে সালাত সংযুক্ত ও স্থিত হয়েছে।”
সালাত শেষে তিনি বলেন :

أَمَا تَعْلَمُونَ كَيْفَ تَقُولُونَ فِي صَلاتِكُمْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ  خَطَبَنَا فَبَيَّنَ لَنَا سُنَّتَنَا وَعَلَّمَنَا صَلاتَنَا فَقَالَ إِذَا صَلَّيْتُمْ فَأَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذْ قَالَ (... وَلا الضَّالِّينَ ) فَقُولُوا آمِينَ ... وَإِذَا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ فَلْيَكُنْ مِنْ أَوَّلِ قَوْلِ أَحَدِكُمُ التَّحِيَّاتُ الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ... ".
“তোমরা কি জান না কীভাবে সালাতের (নামাযের) মধ্যে (দোয়া বা যিক্র) বলবে? রাসূলুল্লাহ () আমাদের ওয়ায করলেন এবং আমাদের জন্য আমাদের সুন্নাত বর্ণনা করলেন এবং আমাদেরকে আমাদের সালাত (নামায) শেখালেন। তিনি বললেন : যখন তোমরা সালাত আদায় করবে তখন কাতার সোজা করবে এবং তোমাদের মধ্য থেকে একজন ইমাম হবে। সে যখন তাকবীর বলবে তখন তোমরা তাকবীর বলবে। যখন সে (...ওয়ালাদ দোয়াল্লীন) বলবে তখন তোমরা ‘আমীন’ বলবে... বৈঠকের সময় প্রথমে তোমরা ‘আত-তাহিয়্যাতু... ” পাঠ করবে।... ” সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সালাত, নং ৪০৪।






তাবেয়ী ইকরিমা বলেন: আমি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.)-কে বললাম: আমি একজন নির্বোধ আহমক ব্যক্তির পিছনে যোহরের সালাত আদায় করেছি, যে সালাতের মধ্যে ২২ বার তাকবীর বলে, সাজদায় যেতে ও সাজদা থেকে উঠতে সে তাকবীর বলেছে।

তখন ইবনু আব্বাস (রা.) বললেন : 

لا أُمَّ لَـكَ تِلْـكَ سُنَّـةُ أَبِـي الْقَاسِـمِ .
“হতভাগা পোড়া কপালে! এতো রাসূলুল্লাহ -এর সুন্নাত।”  মুসনাদে আহমাদ, নং ৩১৩০।
এখানে আমরা দেখছি যে, তাকবীরে তাহরীমাসহ সকল তাকবীরকেই ইবনু আব্বাস (রা.) রাসূলুল্লাহ -এর সুন্নাত নামে আখ্যায়িত করছেন।

একজন তাবেয়ী ইবনু আব্বাসকে (রা.) প্রশ্ন করেন :
 যদি মুসাফির অবস্থায় মক্কায় অবস্থানকালে ইমামের সাথে জামাতে সালাত আদায় না করি তাহলে কয় রাকাত সালাত আদায় করব? তিনি জবাবে বলেন :

رَكْـعَـتَـيْـنِ سُـنّـَةَ أَبِـي الْـقَـاسِـمِ .
দুই রাকাত (কসর) পড়বে এটাই রাসূলুল্লাহ -এর সুন্নাত।” সহীহ মুসলিম, কিতাবু সালাতিল মুসাফিরীন, নং ৬৮৮।
এখানে সফরে কসর করাকে সুন্নাত বলা হয়েছে, যদিও কসর আদায় করা অনেকের মতে ওয়াজিব। মূলত সাহাবীর কথার অর্থ হলো : সফরে কসর করাই তাঁর নিয়ম ছিল, তিনি কখনো সফরে পুরো নামায পড়েননি, তাই তুমি সফরে কসর করবে।

No comments

Powered by Blogger.