Header Ads

Logo Design by FlamingText.comLogo Design by FlamingText.com

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পরে পালনীয় যিকর-১

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পরে পালনীয় যিকর


ফরয সালাতের পরে যিকর ও মুনাজাতের গুরুত্ব
সুন্নাতের পক্ষে
সালাত মুমিনের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ যিক্র। আর যিক্রেই তো মুমিনের হৃদয়ে আসে প্রশান্তি। এজন্য সালাতের শেষে মুমিনের হৃদয়ে প্রশান্তি আসে। আমরা সালাতে মনোযোগ দিতে পারি না বলে এ প্রশান্তি ভালভাবে অনুভব করতে পারি না। তা সত্ত্বেও যতটুকু সম্ভব মনোযোগ সহকারে অর্থের দিকে লক্ষ্য রেখে সালাত শেষ করলে মুসাল্লী নিজেই হৃদয়ের প্রশান্তি ও আবেগ অনুভব করবেন। এ সময়ে তাড়াহুড়ো করে উঠে চলে যাওয়া মুমিনের উচিত নয়। সালাতের পরে যতক্ষণ সম্ভব সালাতের স্থানে বসে যিক্র-মুনাজাতে রত থাকা উচিত। কিছু না করে শুধু বসে থাকলেও ফিরিশতাগণের দুআ লাভের সৌভাগ্য হবে। আবু হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন:
إِذَا صَلَّى الْمُسْلِمُ ، ثُمَّ جَلَسَ فِي مُصَلاَّهُ ، لَمْ تَزَلِ الْمَلاَئِكَةُ تَدْعُو لَهُ : اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ ، مَا لَمْ يُحْدِثْ أَوْ يَقُومُ.
“যখন কোনো মুসলিম সালাত আদায় করার পর তার সালাতের স্থানে বসে থাকে, তখন ফিরিশতাগণ অনবরত তাঁর জন্য দু‘আ করতে থাকেন: হে আল্লাহ একে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ, একে রহমত করুন, যতক্ষণ না সে ওযু নষ্ট করে বা তাঁর স্থান থেকে উঠে যায়।” হাদীসটির সনদ সহীহ। ইবনু খুযাইমা, আস-সহীহ ১/৩৭২, আলবানী, সাহীহুত তারগীব ১/২৫১।
১.  যিকির       ৩ বার
أَسْتَغْفِرُ اللهَ

উচ্চারণ ও অর্থ: আস্-তাগফিরুল্লা
অর্থ- আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। 
২.যিকির
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতাস সালা-মু ওয়া মিনকাস সালা-মু, তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনিই সালাম (শান্তি), আপনার থেকেই শান্তি, হে মহাসম্মানের অধিকারী ও মর্যাদা প্রদানের অধিকারী, আপনি বরকতময়।”
৩.  যিকির

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمَلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ، اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
উচ্চারণ:  লা- ইলা-হা ইল্লল্লা-হু, ওয়া‘হদাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলক, ওয়া লাহুল ‘হামদ, ওয়া হুআ ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদীর। আল্লা-হুম্মা, লা- মা-নি‘আ লিমা- আ‘অ্ত্বাইতা, ওয়ালা- মু‘অ্ত্বিয়া লিমা- মানা‘অ্তা, ওয়ালা- ইয়ান্ফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ, আপনি যা দান করেন তা ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। আর আপনি যা না দেন তা দেওয়ার ক্ষমতাও কারো নেই। কোনো ভাগ্যবানের ভাগ্য বা পরিশ্রমীর পরিশ্রম আপনার ইচ্ছার বাইরে কোনো উপকারে লাগে না।”

৪.  যিকির

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
উচ্চারণ : লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া‘হ্দাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল ‘হামদু, ওয়া হুআ ‘আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদীর। লা- ‘হাওলা ওয়ালা- ক্বুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়ালা- না‘্অ্বুদু ইল্লা- ইইয়া-হু। লাহুন নি‘অ্মাতু, ওয়া লাহুল ফাদ্ব্লু, ওয়ালাহুস সানা-উল ‘হাসান। লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন।
অর্থ : “আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর দ্বারা ও আল্লাহর মাধ্যম ছাড়া কোনো অবলম্বন নেই এবং কোনো ক্ষমতা নেই। আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না। নিয়ামত তাঁরই, দয়া তাঁরই এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই। আমাদের দ্বীন বিশুদ্ধভাবে শুধুমাত্র তাঁরই জন্য, এতে যদিও কাফিরগণ অসন্তুষ্ট হয়।”

৫.  যিকির (আয়াতুল কুরসী ১ বার)
اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيم
 উচ্চারন:আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুমু লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান। [২:২৫৫]

৬.  যিকির
 সূরা ইখলাস ১ বার:  بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ ﴿١﴾ اللَّـهُ الصَّمَدُ ﴿٢﴾ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ﴿٣﴾ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ ﴿٤

অর্থ: বলুন, তিনি আল্লাহ, এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

সূরা ফালাক ১ বার:

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿١﴾ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿٢﴾ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ﴿٣﴾ وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ﴿٤﴾وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ﴿٥
 অর্থ: বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে। অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়। গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।

সূরা নাস ১ বার:
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿١﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿٢﴾ إِلَـهِ النَّاسِ﴿٣﴾ مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ﴿٤﴾ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ﴿٥﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦
অর্থ: বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার। মানুষের অধিপতির। মানুষের মা’বুদের। তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে। জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

৭.  যিকির
  ৩৩  বার “সুব‘হানাল্লাহ” سُبْحَانَ الله এর অর্থ আল্লাহ তাআলা পুতঃপবিত্র।
, ৩৩ বার “আল‘হামদুলিল্লাহ” اَلحَمْدُ للهِ
এবং ৩৪ বার “আল্লাহু আকবার” الله أكبر

No comments

Powered by Blogger.